হ্যাকিং
হ্যাকিং হচ্ছে কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে দুর্বলতা সনাক্ত করে তার দুর্বলতা ব্যবহার করে অ্যাক্সেস লাভ করা।
যদি সহজ ভাষায় বলি, মনে করুন বাসায় বসে আপনি টেলিভিশন দেখছেন আর রিমোট হচ্ছে আরেকজনের হাতে যাকে আপনি চিনেন না, কোথায় বা কে তাও জানেন না। সে ইচ্ছে করলেই চ্যানেল পরিবর্তন করতে পারছে,সাথে সাথে টেলিভিশন এর নিয়ন্ত্রন ও তার হাতে চলে গেছে। এখানে টেলিভিশন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট আর ঐ লোকটি হচ্ছে হ্যাকার।
আরেকটু যদি বলি-
হ্যাকার হল দক্ষ কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ যে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য তার প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে ব্যবহার করে।
হ্যাকার শব্দটি শুনলেই আমাদের ভেতরে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব তৈরী হয়। হ্যাকার মানেই খারাপ, তারা মানুষের ক্ষতি করে থাকে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বের করে কোটি টাকা নষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে।
কিন্তু উন্নত বিশ্বে হ্যাকিং মানে হচ্ছে একটি শিল্প। অল্প সময়ের মধ্যে কোন সমস্যার সমাধান করে দেখানোকে বলা হয় হ্যাকিং।
হ্যাকিং হচ্ছে এক ধরণের সাইবার অপরাধ আর এই অপরাধগুলি ঠেকাতে প্রতিবছর কোটি কোটি ডলার খরচ করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এজন্য তাদের প্রয়োজন হয় দক্ষ হ্যাকার। মানুষের রোগ প্রতিহত করতে বা ভাইরাস বিনষ্ট করতে যেমন আরেকটি ভাইরাসের প্রয়োজন হয় এন্টিবায়োটিক তৈরি করতে। ঠিক তেমনি একজন অসাধু হ্যাকার এর হাত থেকে রক্ষা পেতে দরকার হয় আরেকজন দক্ষ ইথিক্যাল হ্যাকার।
এর উত্তরে আমি শুধু বলবো, যেখানে উ: কোরিয়া,রাশিয়া,আমেরিকার মত আইটি তে শক্তিশালী দেশ হ্যাকিং প্রতিরোধ করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে হ্যাকার নিয়োগ দিচ্ছে,সেখানে বাংলাদেশ অনুন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক এর মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। ফলাফল ৯৫১ মিলিয়ন ডলার চুরি। বাংলাদেশি টাকায় যা একটি পদ্মা সেতু তৈরি করতে যথেষ্ঠ।
সাইবার অপরাধ হলো, সে অপরাধ যা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘটানো হয়। উন্নত বিশ্বে সাইবার অপরাধকে অপরাধের তালিকায় শীর্ষে স্থান দেয়া হয়েছে। তৈরী করা হয়েছে নতুন আইন, ব্যবস্থা করা হয়েছে শাস্তির।
সাইবার ক্রাইম বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে-
প্রথমেই অবস্থান করছে হ্যাকিং, তারপরে রয়েছে ভাইরাস আক্রমণ, ম্যালওয়্যার ছড়ানো।
ব্যক্তিগত কাউকে হয়রানি করা, মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালানো, অন্য ব্যাক্তির নাম ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া।
ক্র্যাকিং এর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য নিয়ে অনলাইন ব্যাংক থেকে অর্থ-আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অপরাধের সমষ্টিই হচ্ছে সাইবার ক্রাইম।
পরবর্তী পোষ্টে ইথিক্যাল হ্যাকিং বিষয়ে তথ্যবহুল লেখা নিয়ে হাজির হচ্ছি, ততক্ষণে সাইটের বাকি লেখা গুলো পড়ে ফেলুন।
এই লেখাটি সম্পাদনা করা হয়েছে অক্টোবর ২৮, ২০১৭ ১০:৪৯ অপরাহ্ন
replica Hublot watches .iwc replica uk UK automatic cheap replica watches for men here are at affordable…
Our AAA Best Breitling Replica Watches Online Store offer cheap Swiss Breitling Replica with top quality, 60…
replica watches uk If you like forever classic fake watches, you cannot miss the uk…
Fast shipping and quality guarantee. Ordering UK cheap replica rolex watches from our online shop is a…
মন্তব্য পড়ুন
ধন্যবাদ ভাই
ম্যালওয়্যার টা কি বুঝিয়ে বললে ভালো হত আর এটা কি ক্ষতি করে কম্পিউটার এর?
ম্যালওয়্যার বলতে আমরা ক্ষতিকারক প্রোগ্রামকেই বুঝিয়ে থাকি। তবে ম্যালওয়্যার কাউকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য তৈরী হয়না। মূলত নিজের স্বার্থ লাভের জন্যই ম্যালওয়্যার তৈরী করা হয়ে থাকে।
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটার গুলো ম্যালওয়্যার দ্বারা খুব সহজেই আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আপনার পিসির তেমন ক্ষতি না করলেও আপনার মূল্যবান তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। ম্যালওয়্যার বিভিন্ন উদ্দেশ্য তৈরী হয়ে থাকে, এ জন্যই একেক ম্যালওয়্যার একেক রকম কাজ করে থাকে।
ধরুন, আপনি কোনো পাইরেটেড সফটওয়্যার বিনামূল্য ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে পিসিতে ইন্সটল করলেন আর এর মাধ্যমে আপনার অজান্তেই ম্যালওয়্যার কে পিসির একসেস দিয়ে দিলেন।
ম্যালওয়্যারের আক্রমণ থেকে বাচঁতে নিয়মিত এন্টি-ম্যালওয়্যার আপ-টু-ডেট রাখুন।